তিস্তার ভাঙনরোধে কাজ মার্চের মধ্যে শুরু হবে – উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা
পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, তিস্তা নদীর দুই পাড়ের ৪৫ কিলোমিটার ভাঙনপ্রবণ এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ২০ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন রোধের কাজ আগামী মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই শুরু করা হবে। পর্যায়ক্রমে বাকি অংশের ভাঙন রোধের কাজও শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, এই কাজের তদারকির জন্য একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। এই গ্রুপে ভাঙনপ্রবণ পাঁচ জেলার প্রতি জেলা থেকে একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এবং একজন স্থানীয় মানুষ থাকবেন। জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রবিবার বিকেলে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা রেলব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ‘তিস্তা নিয়ে করণীয়’ শীর্ষক গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, তিস্তাপাড়ের মানুষের মতামত নিয়েই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থানীয়দের মতামত ছাড়া চীনের সাথে এই মহাপরিকল্পনার কোনো চুক্তি চূড়ান্ত করবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইন এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগণও অংশ নেবেন। তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানের পথে যাত্রা শুরু হয়েছে এবং এটি দ্রুতগতিতে চলবে।
গণশুনানি অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা হবে যাতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পায়।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মো. রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে গণশুনানি অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.আতিক মোজাহিদ, নাগরিক কমিটির আখতার হোসেন, আবু সাঈদ লিয়ন প্রমুখ। এছাড়াও, গণশুনানিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী এ. কে. এম. তাহমিদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তরাঞ্চল জোনের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, রংপুরের পুলিশ সুপার মো. আবু সাইম-সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ সম্পাদনা: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫ ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন