ইউক্রেনের ইউরপীয় ইউনিয়নে যোগদানে রাশিয়ার আপত্তি নেই
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আজ সাংবাদিকদের কাছে ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
পেসকভ জানান, রাশিয়া ইউক্রেনের ইইউতে যোগদানের বিরোধিতা করে না, কারণ তারা এটিকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে না। তিনি বলেন, “এটি যেকোনো দেশের সার্বভৌম অধিকার। আমরা ইন্টিগ্রেশন এবং অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলছি, এবং এখানে কেউ কাউকে কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না। আমরা তা করতে যাচ্ছি না।”
তবে, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা বা সামরিক জোটের বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান সম্পূর্ণ ভিন্ন বলে জানান পেসকভ। ন্যাটোকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “সেখানে আরেকটি বিষয় রয়েছে, যা সবার কাছে সুপরিচিত।”
পুতিন-জেলেনস্কি আলোচনার সম্ভাবনা
ক্রেমলিনের মুখপাত্র আরও জানান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রয়োজনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। পেসকভ বলেন, “পুতিন নিজেই বলেছেন যে প্রয়োজন হলে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত।” তবে, আলোচনার জন্য চুক্তির আইনি ভিত্তি নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন, কারণ জেলেনস্কির বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
এই মন্তব্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বৈধতা নিয়ে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের সংশয়ের প্রতিফলন। রাশিয়া বারবার জেলেনস্কির সরকারকে বৈধতা দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে।
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা
ক্রেমলিনের মুখপাত্র আরও জানান যে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে কোনো নতুন তথ্য নেই। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন রিয়াদে আজকের (১৮ ফেব্রুয়ারি) আলোচনা থেকে কিছু স্পষ্টতা আসতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার এবং ইউক্রেন সংকটের সমাধান এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য।
রিয়াদ আলোচনায় ইউক্রেনের অনুপস্থিতি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদল বর্তমানে সৌদি আরবের রিয়াদে আলোচনায় বসেছে। তবে এই আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে ইউক্রেনই অনুপস্থিত।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি গতকাল সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরকালে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এই শান্তি চুক্তিগুলোকে স্বীকৃতি দিতে পারি না আমাদের (মতামত) ছাড়া।”
জেলেনস্কির এই মন্তব্য স্পষ্ট করে দেয় যে ইউক্রেন যেকোনো শান্তি আলোচনায় সরাসরি অংশগ্রহণ করতে চায়। এর পরিবর্তে, জেলেনস্কি আজ তুরস্কে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন। এই সফর থেকে ইউক্রেন সংকটের সমাধানে নতুন কোনো দিক উন্মোচিত হতে পারে কিনা, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল সতর্ক নজর রাখছে।
সর্বশেষ সম্পাদনা: শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫ ১১:০৪ পূর্বাহ্ন